October 27, 2024, 12:36 am
তামান্না আক্তার হাসিঃ এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিককালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক এসব প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, “বাংলার বন্ধু উন্নয়ন সংস্থা” নামে একটি ভূয়া রেজিস্ট্রেশনবিহীন আর্থিক সংস্থা এমএলএম ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন ব্যক্তিকে কোম্পানিতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখ বিকাল ০৪.১০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকা অভিযান পরিচালনা করে “বাংলা বন্ধু উন্নয়ন সংস্থা” ২৫টি ঋণ ফরম, বিভিন্ন রেজিস্টার, ৬টি নিয়োগ পত্র, ৫৩টি মানি রিসিভ, আইডি কার্ডসহ উক্ত ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিম্নোক্ত প্রতারক চক্রের ০২ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।মোঃ শরিফ মিয়া (৩৬), জেলাঃ জামালপুর।মোঃ শরিফুল ইসলাম (৪০), জেলাঃ গাইবান্ধা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী এ ধরনের প্রতারনার কথা স্বীকার করে ও বিভিন্ন সাধারণ ও নিরীহ লোকজনদের নিকট হতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমানের নগদ অর্থ প্রতারণামূলক ভাবে আত্মসাৎ করে আসছে।
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকায় “বাংলার বন্ধু উন্নয়ন সংস্থা” একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তারা দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটি প্রতারণামূলকভাবে উত্তর অঞ্চলের গাইবান্ধা এবং আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। উক্ত ভূয়া প্রতিষ্ঠানটি এ্যাডমিন অফিসার ও বিভিন্ন লোভনীয় পদে চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮০-৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেন এবং কৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়া হলেও তাদের বেতনের টাকা কখনো দেয়া হতো না। গাইবান্ধা এলাকা হতে অবাঞ্চিত ঘোষণার পর তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকা জেলার জনবহুল এলাকা আশুলিয়া এলাকায় আশ্রয় নেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এসবের সত্যতা স্বীকার করেছে এবং এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।